সবাই তো চলে
যাবে
রংমশালের নীচে
ডানাঝাপ্টানো প্রজাপতি
সেও যাবে
অথবা খাদক
হিসেবে যে অপেক্ষায় আছে
ঘৃণ্য ধূসর টিকটিকি
আলো নিভে গেলে
সব ফাঁকা
নিঃসীম আকাশ
জুড়ে দিনের স্বরলিপি
ব্যস্ত জীবন
ছুটে যাবে ।
নিভৃতে ফুটবে
কলমি ফুল
বার্ধক্য এসে
চুপচাপ বসে থাকবে
তোমার লাল ঘুঙুর
পরা হাঁস
কোন্ অচিন
সমুদ্র পার হবে !
আমি শুধু স্মৃতি
খুঁড়ে চলে যাব
দৃশ্য মুছতে
মুছতে প্রাগৈতিহাসিক কাল
আবার আগুন
জ্বালাবে
আগুনে পুড়ে
যাবে স্বপ্নের কংকাল…
তবুও
তাকেই হরিণ ভাবি
জ্যোৎস্নায়
ছুটে যায় সে
খুরের
ঘর্ষণে তার আগুন ছিটকে পড়ে
এই
রাতে ঘোর রাতে আমি এক ব্যর্থ শিকারি
পাথরে
পাথর ঘষে আগুন জ্বালি
রাতের
গুহায় শুয়ে থাকি
নিঃস্ব
আকাশ থেকে শূন্যের চাকা নেমে আসে
সভ্যতা
গড়াতে থাকে আরও কোনও সভ্যতার দিকে
মানুষেরা
জন্তু হয়, আশ্চর্য প্রভোক জন্তু সব
থেকে
থেকে গর্জন শুনি
হরিণেরা
ছুটে যায় গভীর বনের দিকে
মূর্খ
আর নিষ্ঠুর পাথর সব আমার গুহার দেওয়ালে ছিটকে পড়ে
কৃষিকথা
দুপুরে
কদম গাছের ছায়ায় আমি
সেও
এসে বসে আছে পাশে
দুজনেই
ছায়া মাখামাখি
ঘাসকাটা
জীবন দোলাই
আশ্বিনের
পোয়াতি ধানগাছ
আমাদের
ভাষা বোঝে
পুকুরের
জলে ঢিল ফেলে হি হি হাসি
আমি
তোকে নিয়ে যাব চলে !
ধানক্ষেত
কেঁচোর মাটির গন্ধ পদ্মফোটা বিলে
আমাদের
মন ওড়ে, উড়তে থাকে রোদ্দুর ও ঘামে
আমি
ওকে ছুঁয়ে থাকি, শরীরে শরীর রাখি ওর
আমার
স্বপ্নের বীজ রাখি ওর ক্ষেতে…
তৈমুরের কবিতা আমার বরাবরই ভালো লাগে।এখানে তিনটি কবিতাই খুব ভালো লাগলো।
ReplyDelete