আজ আমি ঈশ্বর দেখলাম আলপথে,
যেখানে জমে আছে শিশির বিন্দু,
মন্দির থেকে ঘন্টাধ্বনি, মসজিদের আজান
আসছিল ভেসে,
সব অন্ধকার যাচ্ছিল মুছে,আলো ফুটছিল
নতুন আশা নিয়ে,
ফোকলা দাঁতে হাসছিল
ভবিষ্যতের স্রষ্টা,
তার হাসিতে জগৎজুড়ে ছেয়ে যাচ্ছিল
এক মায়াবী আলো.
থমকে দাড়ালাম
ঘুম ভেঙে জেগে উঠেছিল
হাজার পাখি,
পাকাধানের মাঝখানে
উলঙ্গ ঈশ্বর, সোনালী দিন
আর খাদ্যের আয়োজনে নিমগ্ন.
আজো কাঁদছে গান্ধারী
যুদ্ধের জয়োদ্ধত সৈনিকের হুঙ্কার নাকি
পরাজিত পুত্রহারা মায়ের অভিশাপ?
ক্ষমতার পাহাড়চূড়া,না শোকাতুর
মায়ের বিলাপ?
সাক্ষী মহাভারত,
ভুলে গেছ মুষল পর্ব?
ভুলে গেছ শাম্বর লোহা প্রসব,
সেই লোহা দিয়েই তৈরি জিরুর তির,
যে লোহার অণু পরমাণু তে
তোমাদের দুর্বিষহ অহংকার,
ঠিক যেন তোমাদের ক্ষমতার
অপব্যবহার.
নৈরাজ্যের সমুদ্র স্রোতে
তখন ডুবছে যাদব কূল,
ঠিক তখনই ঝলসে উঠলো
জিরুর তির,
বিদ্ধ হলো শ্রীকৃষ্ণ,
কুরুক্ষেত্রের চালক
যার মুখ গহ্বরে খেলা করে
বিশ্ব ব্রম্ভান্ড.
এর পরেও বলবে অবলা রমণী গান্ধারী?
হাজার গান্ধারী কাঁদছে,
শুধু মনে রেখ
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে বারংবার.
No comments:
Post a Comment