অনেককিছুই চেয়েছিলাম
দুহাত ভরিয়ে দিতে
একপাহাড় সিঁড়ি ভাঙা অর্কিড
পাইনের রিবন ধরে নামতে নামতে
অবাধে ঝাঁপ দেওয়া
ক্যালিগ্রাফিক ফাউন্টেন
সুনীল ক্যানভাসে অ্যাক্রাইলিক রামধেনু
রাখালিয়া মেঠোসুর
এক ছটাক কচি ঘাসের শিশির চুমু
অবিন্যস্ত সিঁথিবেয়ে দাঁড়টানা
বিকেলের খেয়াল
নিশিসূর্যের সফেদ ফোটোন
পা ছোঁয়া ঢেউয়ের বুদবুদ
আজ পাহাড়ের ধাপে ধাপে
যন্ত্রণার ঝুমচাষ
বুলেট চিনেছে মুঠোহাত
তারকাটা বাউলের মান :ফিরে দেখেনা কেউ
উপবাসী ক্লোরোফিল রোদ চাটে
কচুর ডাঁটা চোষে টিপছাপ
মুখোশের আবডালে
লুকিয়ে ফেলেছি গ্যাংগ্রিন
অভিজাত ডাস্টবিন , শুকতলা
জিভে চাঁখে ডাঁসমাছি
অনেককিছু চেয়েছি দিতে
প্রতিশ্রুতির ঝুঠা আশ্বাস ছাড়া
বরাদ্দ কমেছে প্রতিখাতে
৩৯ নং লেন
কবিতার হিমকাতুরে গতিজাড্যে
থমকে গেছে ৩৯ নং লেন
অযুত বাষ্পীয় বুদবুদ
কলমের দ্রাঘিমা বরাবর নেমে এলে
তুলসি গাছের ডালে সাঁঝ নামে
কাঁসরের গায়ে
আজানের স্বরলিপি লিখতে চেয়ে
পিছলে গেছে বুড়ো আঙুল
রক্তের দামে : প্রতি পাড়ায়
বাজে শৈশবের বাড়ানো বাটিতে
যে কটা কয়েন পড়ে আছে
তার দুএকটা আমারও ছিলো
আমি অক্ষর দিতে পারিনি
দিতে পারিনি এলো ছাত
পেটকাটি চাঁদিয়াল
ঝনাৎঝনের সূচকি দূষণ মেনে নিয়েছে
হাভাতের পোষাকি কান
গরমিল গলিতে কালোঘামে ভিজে গেলো
আগামীর অক্ষরজীবি পৌষালি রাতে
৩৯ নং লেন আজও কবিতা লেখেনি
No comments:
Post a Comment