বেদনার কঙ্কাল
বেদনা যা আছে
তাকে ঠলে ফেলে দেবো পাহাড়র খাদে।
উল্লাশে হাসবে আমার কোলেষ্টোরল।
শত্রুর মত জমবে তারা নদীর উৎস খাতে...
একদিন রাতে-
চুপিচুপি
আমার ভীষণ ইচ্ছারা দেখে আসবে
খাদের ভেতরে পড়ে থাকা আমার
বিগত দিনের বেদনার কঙ্কাল।
পরম্পরা
মাঝে মাঝে আমার ঘর থেকে কিছু আওয়াজ ঠিকরে আসে...
আমি ঠিক অনুভব করি ঐ আওয়াজেরাও একদিন মানুষ ছিল।
আমি দেখিনি, হয় তো আমার বাবা, কিংবা তার বাবা,
কিংবা তারও...তারও বাবারা দেখেছিলো...অথবা তারও পূর্বে...
তারা এখন আমার কাছে এখনদের হিসেব চায়...
আমি তাদের বলে দিয়েছি,
এই রঙ্গমঞ্চের কোনো হিসেব হয় না।
তাই আওয়াজ চালিয়ে যাও....
যেহেতু ঐ আওয়াজের বুলি
একদিন আমাকেও শিখে নিতে হবে
ভবিষ্যতের দ্রবীভূত অন্ধকারে।
কয়েন ভ্যানিসের জাদু
হাতের তালু উল্টোলেই দেখি কয়েনটি নেই....
আহা কি জাদু !....কি জাদু !.....
এরপর থেকে হাতের তালু উল্টে ফেললেই দেখি-
আশ্চর্য ! অনেক কিছুই ভ্যানিস হয়ে যায়।
এমনি করেই একদিন হাতের তালু উল্টে
শৈশব-কৈশোর-পিঠে-পুলি-পায়েস-
মায়ের সোনালী আদরের দিন.......ভ্যানিস!
আমি তখন জাদুকর,
মঞ্চে চিকন গোফ দুলিয়ে দুলিয়ে হাসছি হা হা !
সামনে যে দর্শক সে আমার বুড়ি মা।
ছোট্ট মেয়েটির মত সে তখন ফেউ ফেউ কাঁদছে,
মায়ের এখন আমার জাদুর হারানো কয়েনটি চাই....
No comments:
Post a Comment