সহানুভূতি
ঠোঁটে করে আস্ত একটা দিন বাসায়
এনে রেখেছিল কাকে
কাকিনি তার সংযমী ঠোঁটে খাবার
তুলে ধরে বাছাদের মুখে
হাওয়া দিয়ে বাসাখানা বেঁধেছিল আলো
আলো খেয়ে বাড়ে কাকিনির ছানাগুলো
না-ভাললাগা স্বপ্নগুলো কথা হয়ে ওড়ে
আসন্ন কালবৈশেখির নুইয়ে থাকা ঝড়ে
বাচ্চারা কিলবিল করে বাতাসের ফাঁদে
পেটে আগুনের খিদে---
স্বপ্নের কাকতাড়ুয়া ছিটকেল হাতে
প্রত্যাশার ক্ষেত্র পাহারাতে--
রাত্রি আসে জোৎস্না মেখে কল্লোলে উচ্ছ্বাসে
বিমর্ষ স্বপ্নাদেশ ভাসে ফাতনার বেশে
ডানাওয়ালা পরীরা উড়ে অনুতাপের আকাশে•••
একাকী মৃতপাখি সহানুভূতি পেয়ে অনায়াসে
জলে ডোবা ঘাসফুলে জাগে
প্রকৃতি আর মানুষ পারদর্শী হননে চিরকাল
দ্বান্দ্বিকতা ম্লানছায়া মুছে দুনয়নের জল
ভাঙাঘর
আমার জানা নেই কখন আমার ঘর
চুরি গেছে মগ্ন তীরে মনের গভীরে
বাবার কী দোষ বলো, সন্তানের মুখে
দুমুঠো অন্ন দিতে কদাচিৎ চৌর্যবৃত্তি করে
অভাব চিবিয়ে খায় সভ্যতার স্থূল স্বভাব •••
বইখাতা ফেলে ডালে চড়ে ফল খাওয়া
শিশুদের দোষ কিছু নেই
জটিল পৃথিবীর কুটিল ব্যবস্থাপনার এ হাল--
নিহত পাতাদের চুম্বনে ভেজা সন্ত্রাসবাদ
অভিমানে আর্তনাদগুলো কাঁদতে কাঁদতে
ঘুমিয়ে পড়ে, তবু হাঁড়িতে সেদ্ধ হয়না চাল
ভাঙা ভাঙা আঁধার আলখাল্লা পরে রাত ঢাকে
রাত্রি উলঙ্গ, নিরাভরণ, তবুও সেই রাতই জাগে
স্তনমুখী শামুকের বুকে ঝরে সিক্ত দুগ্ধ-স্রাব
ভাঙাঘর চুরি গেল, জানিনা, হয়তো অভাব
দুটি কবিতাই খুব ভালো লাগলো কবি।
ReplyDelete