জানি আমি, শরীরের স্বাদ
সুস্বাদু
হরিণের মাংসের মতো
তাই, যদি কোনোদিন সম্রাট হয়ে মৃগয়ায়
বের হয়ে পড়ি
ঝলসানো হরিণীকে
সোনার থালায় তুলে নেব
রুপোর লবনদানি
রেখে দেব পাশে
আরো কিছু স্বাদের আশায়
তারপর শরীরের ঘ্রাণ নিতে নিতে
মৃগনাভি কস্তুরিসম প্রেম খুঁজে
শরীর ছাড়িয়ে দূরে
বনান্তের ঘন অন্ধকারে
ডুবে যাব একদিন
ভিখিরির মতো নি:স্ব হয়ে।
অন্ধকার শুশ্রূষায়
তোমার সাথে অনেক কথা ছিল
অনেক কথাই ছিল তোমার সাথে
অথচ কিছুই বলা হয় নি আজও
অবিরল কলস্রোত
বুকের পাঁজরে
ভাগীরথী রঙ মাখে
একা অস্তরাগে
তুমি সেই অস্তের রঙ
কুড়িয়ে নিয়েছো মুঠো মুঠো
বিকেলের পড়ন্ত বেলায়
অন্ধকার শুশ্রূষা
বন্ধক রেখেছি আমি
সন্ধ্যার কাছে
তুমি সেই অন্ধকার
রামধনু রঙ মুছে গেলে
তোমার ওই অন্ধকার চুলের ভিতর
জেগে থাকে দুই জোড়া উৎসুক চোখ
চোখের ভিতরে এক অপরূপ পিপাসার খনি
এসো, আজ এক্ষণে পিপাসার অঙ্গীকার করি
মঞ্চের আলো ছেড়ে নির্জনে দূরে
আলিঙ্গনে বদ্ধ হই
নিতান্ত নিরীহ কোনো গল্পের ভিতরে।
No comments:
Post a Comment