জিরো বাউন্ডারি কবিতার চতুর্থ সংখ্যার জন্য লেখা জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট মার্চ মাসের ১০ তারিখ। দুটো কবিতা বা কবিতা বিষয়ক লেখা নিজের এক কপি ছবি সমেত পাঠিয়ে দিন আমাদের ইমেলে-0boundarykabita17@gmail.com

পল্লব কর্মকার



উৎকণ্ঠ
             
নিজেকে জড়িয়ে ধরলাম নিজেই, দীর্ঘশ্বাস;
শিউলির গন্ধে বিভোর সন্ধ্যা -বাতাস।
একটা সূর্য আমি রোজই পিছনে ফেলে দিই,
একটা চাঁদ রোজ গ্রাস করে আমায়,
একটা নিঃসঙ্গতা প্রকাশ করে আমার অমিকে,
আর, একটা ক্ষত তাজা রাখে বার্থ কবি সত্তাকে।
মাছিরা ভ্যানভ্যান করে সুর তোলে
আমার পতিত মুখের পারদর্শিতায়।
দুটো শব্দ পালায় দূরে.. "আমি" আর "তুমি",
দুটো আঙ্গুল ধোয়াঁ ছড়ায় বেয়াদপ ফুসফুসে,
আড়াই অক্ষরে "প্রেম",শব্দহীন শকাব্দে,
দুটো চোখের এমন জাদু, কবির কবিতা জব্দে।
বুদ্ধি-মেধায়, জ্ঞান-চেতনায়
অন্তঃকরণ আসে না,
রামধনুতে সাতটি রঙে, 'কালো' রঙ কেন থাকেনা?
তিনটি শব্দে সহজ মিথ্যা-"আমি ভালো আছি"
তিনটি শব্দে আরো কিছু হয়, দ্যাখো-"আমি মারা যাচ্ছি"।
তিনটি আঙ্গুল কবিতা লিখছে, তৃতীয় নয়ন বন্ধ,
তিনটি মানুষ একই তারে বাঁধা, ভালো খারাপের দ্বন্দ।
দ্যাখো কিচ্ছু বদলায়নি,
অথচ সব কিছু কেমন বদলে গেছে!
চারটি দেয়ালে বন্দি মানুষ, প্রেম, ক্ষুধা, পাপ সবই
চারটি মাথা(ব্রম্হা)য় পোকা নড়ে ছিল, সৃষ্টি হলো মানুষ।
চারটি চোখ প্রশ্ন করে, 'একে ওপরের ভুল?'
চার আঙুলেই মেপে নিয়ে চুমু তোমার কণ্ঠমূল।
চার হাতপায়ে হামাগুড়ি, আর চার কাঁধে যাবো চলে,
চারজন বলে, চারিধার জ্বলে নিন্দার অনলে।
পাঁচমুখোর সেই রুদ্র রূপ
ছয়টি রিপুর শাস্তি
সপ্ত-ঋষির মন্ডলে প্রিয়া
অষ্ট কষ্ট শান্তি।।





অস্তিত্বের খোঁজ
              

অসম্পূর্ণ কিছু শিক্ষা,আর
মৃদঙ্গের একতাল ছাড়া
কিই বা জানি আমি?
বেঁচে থাকার খাদ্য,
আমার পায়ের জুতো,
আমার পোশাক দামি,
সবই যেন, একটা গল্প
আরব্য রজনীর মায়া।
আমার এ কায়া,
তাও তো অন্য কারো দান।
এই আছি এই নেই
সেই দোটানায় কবি
অস্তিত্ব সংকটে।
ধরিত্রীর ছায়া বটের কোলে
প্রয়োজন হয়ে থেকে গেলাম
আসল নকল এর মাঝে-
চূর্ণচন্দ্র দীঘির রাত্রি দৃশ্যপটে।
আমার চোখের চশমাটি,
আমার কাঁধের ব্যাগটা,
আমার মনটা,
সবই তো অন্য কারো আমানত;
আর যদি ফিরিয়ে দিতে হয়-,
একফোঁটা অন্ধ শিশির হয়ে থেকে যাবো।
হ্যাঁ, হ্যাঁ এই এত্ত-টুকুই আমার অস্তিত্ব।




No comments:

Post a Comment