(১)
জানো, এই শীতের রাতগুলোতে তোমায় বেশি করে কাছে পাই আমি
তোমার আগুন আমার কম্বলের গায়ে সেলাই করেছি পরিপাটি, আর পিপাসা রেখেছি বালিশের নীচে
বড় নাছোড়বান্দা তুমি, কখনো বুঝতে চাইতে না অমন করে চেয়ে থাকলে আদরের ঘ্রাণ ঘন হয়ে ঘরময় কুয়াশা হয় শুধু
স্বপ্নে রোজ তোমার সাথে ট্রামে চেপে ওই পাহাড়ি স্টেশনের গায়ে ছোট্ট চায়ের দোকানটা অবধি যাই
তারপর সোঁদা ভাঁড়ের চুমুগুলো দুই দুই চার করে উষ্ণতার কেটলিতে বিস্ফোরণ দেখি চুপচাপ
তুমি তো জানোই আমি কি ভীষণ যাদু জানি,
একছুটে তোমার বুকের জঙ্গলে হু হু করে আগুন বাড়িয়ে দিতাম কেমন ফুঁ দিয়ে, মনে পড়ে তোমার?
একছুটে তোমার বুকের জঙ্গলে হু হু করে আগুন বাড়িয়ে দিতাম কেমন ফুঁ দিয়ে, মনে পড়ে তোমার?
আজকাল রোজ ওই জঙ্গল অবধি উড়ে যেতে ইচ্ছে করে আমার, কিন্তু সময়ের ধার করা ডানায় অজস্র অজস্র ফুঁটো।
ওড়া হয় না আর
ওড়া হয় না আর
কম্বলের নীচে পাহাড়ের ঝিমধরা গান ভেসে আসে, চায়ের দোকানের ফিসফাস প্রতিধ্বনি হয়, কেটলির লাজুক মুখ ভিজে ওঠে ঘামে,
আমার ঘুম পায়, বড় ঘুম পায়,
অন্তর্বাস ভিজে যায়, অন্তরের বাসে।।
অন্তর্বাস ভিজে যায়, অন্তরের বাসে।।
(২)
শীৎকার না শুনলে তুমি কামড়ে ধরতে মাংসের মুখ
তারপর দাঁত দিয়ে কেটে জিভের আদিম তেজে পুড়িয়ে এক্কেবারে মাতাল হয়ে যেতে
পাঁজরের লুকোনো কুলুঙ্গিতে তোমার আধখাওয়া মদের শিশিটা অমনি পড়ে আছে আজও
অলিন্দের গায়ের প্যাঁচানো সিঁড়িটা কেবল বড় স্যাঁতস্যাঁতে এখন, বারোমাসই বৃষ্টি
তুমি যদি আসো এর মধ্যে জানিও আগে, কুফরির সলতেটাতে আগুন দিতে হবে
অন্ধকারে অমন হড়হড়ে পথে পিছলে যেতে পারো
অন্ধকারে অমন হড়হড়ে পথে পিছলে যেতে পারো
তোমার তো বরাবরই উত্তাপ বড় প্রিয়, তাই বলে রাখি
আজকাল জ্বর আসে রোজ নিয়ম করে
আজকাল জ্বর আসে রোজ নিয়ম করে
অন্ধকারে রুটির গায়ে পোড়া দাগ দেখা যায় না,
খিদের মুখে এক দু কামড় চলবে, কি বলো!
খিদের মুখে এক দু কামড় চলবে, কি বলো!
No comments:
Post a Comment