জিরো বাউন্ডারি কবিতার চতুর্থ সংখ্যার জন্য লেখা জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট মার্চ মাসের ১০ তারিখ। দুটো কবিতা বা কবিতা বিষয়ক লেখা নিজের এক কপি ছবি সমেত পাঠিয়ে দিন আমাদের ইমেলে-0boundarykabita17@gmail.com

সৌম্যদীপ্ত বোস



চোরাবালি



জীবনের অন্তঃমিল কেবলই 
                 নিছক সান্ত্বনা 
সুদূরের অতীতকে কল্পনায় 
    বোধ হয় আমারও চাওয়া হয়েছে কখনও।
শৈশবের সামাজিক বোধ 
ও অতীতের দুঃখ হাসির মুক্তির সন্ধিক্ষণে,
সাগরের বর্ডারে দুই দিনকেই 
        অবসানের হাতে সমর্পণেও 
আছে আনন্দ,সেই তো সমাজ। 
সুবর্ণরেখার সোনালি আভায় 
       মুছে যাওয়া আজস্র জীবনের হাসিমুখ,
নদীর গর্ভে, স্বর্গ কি  আর নরক কি?
  মানুষকে ছাই কথাটাই সমাপ্তিকা গীতি ।
জীবনের জন্ম কল্পনায় 
        আজও মরন সুদূরবাহী,প্রেমের গীতবিতান 
হাতে আধ্যাত্মিকতার প্রার্থনায় অমর। 
হারানোকে ফিরে পাওয়ার বাসনা
     বর্তমানের সমস্ত শাশ্বত চেতনাকে 
ভবিষ্যতের গর্ভে পারে ফেলে রাখতে।
তাই উর্ধগগন সীমাহীন 
  ধ্বণিতে মাতোয়ারা, কঙ্কনময় রমনীর পাদুকা'র
পদধ্বনিতে উছ্বসিত,নিভৃতের চেতনার বশে,
গূঢ়-গম্ভীর -গোপন অবসানের আশায়।




অভাব 



আমার শুকনো নদীতে 
বান ডেকেছিল অভাবের,
পরিবেশের সামঞ্জস্য ছিল না 
নিজেকে তুলে ধরার মতো,
হয়তো তাই নদীর জল 
আজও দুকূল উপচিয়ে বন্যা ঘটায়। 
দীর্ঘকালের গাছটাও সম্পদের তীরে
বন্যার শিকার,
       তাই আমার কাছে অভাবের হাতছানি আসছে।
আজ তাই চারিদিকে রূপক সমাজ,
মাথা তার নত।
চুঁইয়ে পড়ছে সম্পদ
        অভাবের বিপরীতে। 
প্রতিযোগিতায় নিজেকে ভাসিয়ে
সোজা আকাশ ঘেরা পথে পাড়ি তার।
যে জল রঙের রূপক 
সে আজ বর্ণহীনতার উদাহরণ হয়ে,
মিশে গেছে অভাবের সাথে 
           তাই সম্পদের ডাক এত কর্কশ।।




No comments:

Post a Comment