ফুলগুলো
গাছ থেকে টপাটপ উড়ে যাচ্ছে
সেলফি
স্টিকের দিকে
ট্রাইপড
থাবা
গেড়েছে দুধপথে
উঠোন
ঘিরেছে পাড়াতুতো নক্ষত্রের জটলা
ধুলো
উড়িয়ে ধূমকেতুর দল
বাইক
নিয়ে হাওয়া
সবুজ
পালকটির গায়ে রক্ত হিম
পড়ে
থাকে ধানজমির আলে
অন্ধকারের
চাদর দিয়ে আদালত তাকে
পুষে
রাখে পরবর্তী নক্ষত্রদের জন্য
কত
আলোকবর্ষের দূরত্ব
জানে
না যোনি ও লিঙ্গ
বিছানায়
কোনোদিন গিটার বাজেনি বলে
হরিণের
জল
কেবল
ছিটকে গেছে প্লাঙ্ক ফোমে
বরফের
শিল্প নিয়ে
শুক্রাণুর
ফুটবল গেম ঘরে ঘরে
বাইকের
টি-শার্ট
বরফ
ও আগুনের সেলফি তুলবে বলে
হরিণের
জল ফসিল দূরত্বের দিকে দৌড়তে থাকে
ভোরের বনগাঁ লোকাল
ডাইনোসর থেকে
অ্যালজেব্রা কোনো সরলরেখা আঁকা যায় না বলে পিথাগোরাস জটিল জ্যামিতির দিকে ঝুঁকে
ছিলেন । নেবুলার আলো তখনও দুধপথ অতিক্রম করেনি । জেব্রার দল এখনও চরে
বেড়াচ্ছে ধূসর প্রান্তরে । ওয়াটার ফার আজও
পৃথিবীর বাতাস বিলি কাটছে । এইসব দেখে ডারউইন বড়ো
চঞ্চল হয়েছিলেন ।
দূরত্বের গবেষণায় দেখা গেছে জুরাসিক পার্ক ও আলাস্কা জুড়ে
আছে অদৃশ্য আলপথে ।
সেই পথে হেঁটে যায় পৃথিবীর প্রবীণ ও হবু দম্পতির দল ।
বাংলার মাটিতে এখনও শরতের হিম পড়ে কাশের ঝালরে ।
আর ঐ দেখো আমাদের দুর্গা আট হাত আঁচলে লুকিয়ে ভোরের বনগাঁ
লোকাল ধরছে ।
দূরত্ব তাকে শিখিয়েছে দুর্মূল্য স্তনের বাজার কী করে আয়ত্বে
রাখতে হয় ।
ডিভোর্স
ছোটো
ছোটো দূরত্বের অন্ধকারে
জোনাকির
মতো ঝলমল করে সংসারধর্ম
শহরতলির
গায়ে মাদি কুকুরের মতো শুয়ে থাকে
দূরত্ব
বেড়ে গেলে নৌকা যেখানে গিয়ে ঠেকে
কার্যত
সেটার নাম দেওয়া যেতে পারে ডিভোর্স
ডিভোর্সও
আসলে একটি গূঢ়তর দূরত্বের গৌরচন্দ্রিকা
যার
পালাগান আর কোনো ঘাটে অভিমুখ হয়ে থাকে
তন্ত্রসাধনা
বিরহ
এক প্রকার দূরত্ব যে দূরত্বের মধ্যে
ম’
ম’ করে বিছানায় শোয়ার গন্ধ
গন্ধ
উবে গেলে বিরহও কার্যত
লোডশেডিং
হয়ে যায়
লোডশেডিং
কবিতা লেখার উপযুক্ত সন তারিখ
এইসব
সন তারিখ থেকে এক সময়
খসে
যায় সব ছাল বাকল
যে
যত বাকলহীন থেকে যায়
সে
তত বড়ো মাপের আমিন
অতএব
সফল আমিন মাত্রই
দূরত্বের
তন্ত্রসাধক
দূরত্বখাকির
হাড়মালা গলায় পরে
বসে
থাকে নিরক্ষর মূর্তির সামনে
বামাখেপার
সামনে এসে কখন ধরা দেবে
মা
অক্ষরের কালী
No comments:
Post a Comment