পৌষের মধুমতী
ন্যাতানো স্তন বুকে হাড় ভাসা বিগতযৌবনা
নারীর মত পৌষের মধুমতী
শ্রীহীন শরীরে অর্ধেক বালু অর্ধেক পানি।
বাম বুকে জেগে ওঠা চরে মুখথুবড়ে পড়ে
আছে লক্ষ্মীর কাঠামো তার নিতম্বে বসে
শোক করে নিঃসঙ্গ চিল!
মৃত্যুর মতো স্তব্ধতা চারিদিক
পানিতে শব্দ নেই বাতাসে জোর নেই
মাঝিরা সুর ভুলেছে- থেকে থেকে আর্তনাদ
করে ওঠে বুকে ব্যথা রোগীর মত।
মাঝনদীতে কাশবন কূলের ঢালুতে চারাধান
কাশবন পুড়ে গেছে,পড়ে আছে ফেনসির বোতল
কন্ডমের ছেঁড়া খোশা, পরিত্যক্ত তাস
সিগারেটের পুটকি ইত্যাদি ইত্যাদি !
সূর্য ডুবে গেলে সরিষার ক্ষেতে
কুয়াশার কাফনে আবৃত হয়ে যায় মধুমতী! অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে ফেরার পথ ধরি
লক্ষ্মীর পাছায় তখনো ঝিমায় শোকার্ত শঙ্খচিল!
ডাহুকী
অন্ধকার ছেয়ে গেলে গর্ত থেকে
বেরিয়ে আসে ঝিঁঝিঁপোকারা
তখন ধানপাতার উল্টোদিকে
ভারী হয় কুয়াশার পানি;
বাদুড়ের চিৎকারে আগুন জ্বলে
ক্ষয়ে যাওয়া চোখের পাতায়,আর
লোমকূপ খুলে ঝিঁঝিঁপোকারা মিশে যায়
রক্তের শীতল কণিকায়!
এই সব ঝিঁঝিঁ আর শীতের শূন্যতারা
আত্মা ধরে টেনে নেয় আরো অন্ধকারে
যা বন্ধক রেখেছিলাম ধর্মের কাছে
কোনো এক অখ্যাত মানবীর প্রেমে।
পৃথিবীর যোনিমুখে ইট পাথরের দেওয়াল তুলে
বন্ধ করা হয় প্রেমের প্রসব;
তখন শরীরের গন্ধ শুঁকে বেড়ানো কুকরকেও
ঈর্ষা হয় প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে!
ডাহুকী,
যদিও তোমারা শরীর বিছাও
শুয়োরের খোঁয়াড়ে
ভবিষ্যতের স্বপ্নে শুয়োরের পায়ে
অঞ্জলি দাও শাপলার লতা!
তবুও দোহাই! তাদের ডাহুক বলো না,
ভেবো না তা প্রেমিকের স্পর্শ,নইলে
প্রেমিকেরা পালিয়ে যাবে
মন্দির অথবা মসজিদের অন্দরে!
No comments:
Post a Comment